ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৩ ১৬:৫৭

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের ফুটেজসহ ব্লিঙ্কেনকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের ফুটেজসহ ব্লিঙ্কেনকে চিঠি

 

বিএনপির নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন অভিযোগ তুলে তাদের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ. আরাফাত।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে এ চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে আরাফাত আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, মার্কিন ভিসানীতি বিএনপির এই নেতাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবার (২৬ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে আরাফাত লিখেছেন, “আমি যে চিঠি পাঠিয়েছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাছে..., আপনাদের সম্প্রতি ঘোষিত ভিসানীতি অনুসারে (এবং আপনি যে চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন) যেখানে আপনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘এই নীতি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশি নাগরিক বা যে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা যখন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তখন তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে’।”

‘এখানে আমি কিছু ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করেছি যেখানে আপনি দেখতে পাবেন যে বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছেন। আমি আশা করি, আপনার ভিসা নীতি বিএনপির এই নেতাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে’, চিঠিতে লিখেছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন ওই ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার (২৪ মে) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে এ নীতি ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিসানীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

উপরে