ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩২

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে তামাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে তামাশা

 

বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমরা সুখে আছি, বেহেস্তে আছি- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন উক্তি ‘জনগণের সঙ্গে পরিহাস ও তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, কষ্ট করছে এবং তারা হিমশিম খাচ্ছে। জীবন দুর্বিসহ হচ্ছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেহেস্তে যাওয়ার কথা বললেন। বেহেস্তে নাকি আছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মন্ত্রী মহোদয় এর আগেও এমন সব উক্তি করেছেন যে উক্তিগুলোতে দেশের মানুষ হাস্যকর কিছু ব্যাপার পেয়েছে। তবে উনার এরকম পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, করোনার পর যুদ্ধে সারাবিশ্বে মন্দাভাব আসছে। যুদ্ধের ফলে স্যাংশনের মুখে পড়তে হয়েছে। সাপ্লাই চেঞ্জে ব্যাঘাত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে মন্দা এসেছে। আমরা সেদিক থেকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছি।
দেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকটের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এদিকে ভারত থেকে বিদ্যুতে কিনতে দিতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হয়। এ জন্য গত তিন অর্থবছরে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। আদানি গ্রুপের ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির কথা রয়েছে। বাংলাদেশে যখন প্রায় ৬০ শতাংশ ওভার ক্যাপাসিটি রয়েছে, ঠিক সে সময় ভারত থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত আমদানি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
তিনি বলেন, গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে আইপিপি-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা অন্যায়ভাবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দশ বছরে অফ-শোর গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগায়নি। এমনকি বিদ্যমান গ্যাস ফিন্ডের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০% অধিক গ্যাস সরবরাহ করা যেত, তাও করা হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ভোক্তাদের টাকায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য গঠন করা গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে এলএনজি আমদানিতে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার। এই টাকাটা আসলে ঋণের নামে নিয়ে নেয়া হলো। ভোক্তারা এটিকে বৈধ মনে করে না।
এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

উপরে