ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০২১ ১১:২৬

সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে পারে : গয়েশ্বর

প্রতিদিন ডেস্ক
সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে পারে : গয়েশ্বর

সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকার সম্ভবত পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সেক্ষেত্রে সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে পারে। এই সময় আমাদের ওপর চাপ আসতে পারে। সেই চাপে যদি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নত না হন, আমাদের নেতা তারেক রহমান নত না হন, আপোষহীন নেত্রীর কর্মী হিসেবে আমাদের ক্লান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপোষহীন থেকে আমরা যাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিছু সুধীজন আমাদের মাঝে মধ্যে কিছু উপদেশ দিয়ে থাকেন, আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে থাকেন। তাদের সবিনয়ে বলব যে, এই কথাগুলো প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্রের নেতৃত্ব যারা দেন তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হবে, অপপ্রচার চালানো হবে। আমরা যেন কোনোভাবে বিভ্রান্ত না হই। সেদিকে কান না দিয়ে আমাদের কৌশল আমরাই নির্ণয় করি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে তার পাশে থেকে সাহসী করি। আমরা যেন আমাদের কাজটি সততার সঙ্গে করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানকে থামানোর জন্য, মুক্তিযুদ্ধকে থামানোর জন্য যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে দুই শিশু সন্তান তারেক ও কোকোসহ আটক করা হয়েছিল, তেমনি ওয়ান-ইলেভেনে বেগম খালেদা জিয়াকে থামাতে তার সন্তান তারেক ও কোকোকে আটক করা হয়েছিল। তাদের আটক করার আগেও দরকষাকষি হয়েছিল। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া অথবা ম্যাডামকে বিদেশে চলে যেতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নেত্রীর মুখ থেকে শুনেছি, ওইদিন আমাদের নেতা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, কেন আমাকে বিদেশ যেতে হবে? আমার যদি কোনো অন্যায় থাকে বিচার করুক। বিচার তো করতে পারল না, তারা নির্যাতন করল। সেদিন খালেদা জিয়া মাতৃত্ব নয়, দেশ ও দেশের মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন।’

ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নেত্রীকে মুক্ত করতে পারলাম না। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ম্যাডামকে নির্বাচন না করতে বলেছিলেন, বিনিময়ে তিনি ভালো থাকবেন। কিন্তু ম্যাডাম বলেছিলেন সামরিকের চেয়ে গণতন্ত্র অনেক ভালো। ওই নির্বাচনে ম্যাডাম অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমি সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।’

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম প্রমুখ।

উপরে