ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৪ জুন, ২০২১ ১৫:৩৪

১৫০ বছর বাঁচতে পারে মানুষ! জানালেন বিজ্ঞানীরা

জীবনধারা ডেস্ক
১৫০ বছর বাঁচতে পারে মানুষ! জানালেন বিজ্ঞানীরা

মানুষ ১২০-১৫০ বছর বেঁচে থাকতে পারেন। এর বেশি সময় কারও পক্ষেই বেঁচে থাকা সক্ষম নয় বলে, বয়সের পরিসীমা সম্পর্কে জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী।

নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালের অনলাইলে ২৫ মে প্রকাশিত গবেষণায় এমনই তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। গাণিতিক মডেলিং ব্যবহার করে গবেষকরা এমন তথ্য উপস্থাপন করেছেন।


গবেষকদের মতে, মানুষের পক্ষে ১২০-১৫০ বছরের বেশি বেঁচে থাকা অসম্ভব। কারণ বার্ধক্য আসলে, মানুষ শারীরিক অসুস্থতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়। মৃত্যু হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া।

ক্যালিফোর্নিয়ার নোয়াটো-তে বক ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অন এজিংয়ের অধ্যাপক জুডিথ ক্যাম্পিসি লাইভ সায়েন্সকে বলেন, এই জাতীয় গবেষণাগুলো ইতিহাস এবং বর্তমান তথ্যের উপর নির্ভর করে। বার্ধক্য নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার ৫ লাখ মানুষের রক্তকোষে কী কী বদল আসছে, তা নজর রেখেছেন গবেষকরা। সঙ্গে কত পা হাঁটছেন এক ব্যক্তি, তা-ও দেখা হয়েছে। ব্রিটেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার অনেক মানুষকে নিয়ে চলেছে সমীক্ষা। দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে বার্ধক্য আসার একই ধরনের কিছু প্রক্রিয়া আছে।

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিনের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ ভিগ ২০১০ সালে নেচার জার্নালে বিশদ এক গবেষণার নেতৃত্ব দেন। ওই গবেষণায় জানানো হয়, মানুষের পক্ষে ১২৫ বছরের বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।

অন্যান্য গবেষকরা যুক্তি দিয়েছিলেন, মানুষের আয়ু সম্পর্কে কোনো চূড়ান্ত সীমা নেই। যদিও নেচার জার্নালের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানান, মানুষ ১৫০ বাঁচতে পারেন। তবে এই সংখ্যা বৃদ্ধ বয়সে তার জীবনমান কেমন হবে, সে সম্পর্কে তেমন তথ্য জানা যায়নি।

লাস ভেগাসের নেভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ক কেরকরিয়ান স্কুল অব মেডিসিনের ডিন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক উপাধ্যক্ষ ডা. মার্ক জে কাহন বলেছেন, একজন ব্যক্তির যেমন বয়স বাড়লে মানুষের শরীরের সাদা ও লাল রক্ত কণিকায় বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। এ কারণেই মানুষের চুল সাদা হয়ে যায়। বুড়ো হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় বায়োমার্কার।

লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন প্রবীণ বিজ্ঞানী ক্যাম্পিসি বলেন, মানুষের দীর্ঘায়ু লাভের পিছনে বিশাল সামাজিক প্রভাব আছে।

বিশ্বের দীর্ঘায়ু মানুষদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ ও খাদ্যাভাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়; তারা সবাই অত্যাধিক পরিশ্রমী ও তাজা খাবার খেয়েছেন। তাই দীর্ঘায়ু লাভের জন্য প্রথমত শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে।

বার্ধক্যজনিত স্বাস্থ্য কেবল একজন ব্যক্তির জীবনকেই প্রভাবিত করে না বরং সময়, অর্থ এবং চিকিত্সার সংস্থানের ক্ষেত্রে পরিবারকেও প্রচুর ব্যয় করতে হয়।

তবে গবেষকরা যুক্তি দেখান, যদি বৃদ্ধ বয়সে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর কোনো উপায় থাকে; তাহলে মানুষ সুস্থ থাকতো ও দীর্ঘায়ু লাভ করতো!

সূত্র: লাইভসায়েন্স

উপরে