logo
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৪৩
মিথ্যা বলা বিএনপির বেসাতি
অনলাইন ডেস্ক

মিথ্যা বলা বিএনপির বেসাতি


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বলে যাচ্ছে আমরা নাকি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছি। আপনারাই বলেন, আজকেও শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। এগুলো কি ধ্বংসের নমুনা? তাহলে তারা এতো মিথ্য কথা বলে কেন? কারণ মিথ্যা বলাটা তাদের বেসাতি।
শনিবার ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মাসে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। এরপর তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে যেন আমাদের হাত পাততে না হয়। চাষাবাদ, ফসল উৎপাদন পশুপালনসহ যে যেটা পারেন সেই কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাইকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যারা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করবে, তাদের জন্য আমরা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। আজকে ফ্রিল্যান্সাররা ভালো রোজগার করছে।
শেখ হাসিনার এ জনসভায় রেকর্ডসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিতি ছিলেন। সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা এসেছেন। সমাবেশ জমিয়ে তুলতে এরই মধ্যে সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকেও চলছে একের পর এক পরিবেশনা। জনসভা বিকেলে হলেও এরইমধ্যে জনসমুদ্র্রে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠ। তাকে সামনে থেকে এক নজর দেখার অপেক্ষায় সবাই। লাখো মানুষের স্লোগানে মুখর জনসভা ময়দান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানে দুর্নীতি। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ মানুষকে ঘর দিয়েছে, মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অংক এবং উর্দু পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। কারণ, উর্দু পাকিস্তানি ভাষা আর অংক হচ্ছে হিসাব করা, যা বিএনপি ভালো করেই বোঝে। জিয়া এসএসসি পাস করে চাকরি নিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি। মানুষ এখন দেশে শান্তিতে বসবাস করছে। এখন আমাদের ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে। বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন, মির্জা আজম, সদস্য মারুফা আখতার পপি, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় জনসভায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুরের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।