logo
আপডেট : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১৪
৫ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘গুটি’
‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই ধারণার পরিবর্তন হবে’
বিনোদন ডেস্ক

‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই ধারণার পরিবর্তন হবে’

 

নতুন বছরে নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’-তে তাকে দেখা যাবে মাদক পাচারকারী চরিত্রে, যিনি কিনা কয়েকবছর ধরে স্থানীয় মাদক চোরাচালানকারী নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত। এই সময়ের মধ্যে সে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ করেছে কিন্তু বিনিময়ে হারাতে হয়েছে কাছের মানুষ, সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আশা। এই কাজে পালানোর কোনো পথ নেই। তবে সুলতানা তার মেয়ের জন্য সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে চলতে থাকে পুরোটা সিরিজ।

সাত পর্বের এই সিরিজটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, শরীফ সিরাজ, মৌসুমী হামিদ, নাসির উদ্দিন খান, আরিয়া আরিত্রা, টুনটুনি সোবহান, আরফান মৃধা শিবলু, মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘গুটি -র গল্পটা পরিচালক শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। তিনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট একজন নির্মাতা। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটায় তুলতে চেয়েছেন। এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাপ করেছি। আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি। সিরিজে কাস্টিংগুলো কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং।’

দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই কথাটা আসলে শুনতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে এই ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা আমাদের কাজ দিয়েই এই চিন্তার পরিবর্তন করতে পারবো। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারবো। এখন শুধু অপেক্ষা গুটি মুক্তির।’
‘গুটি’-তে অভিনয় নিয়ে নাসির উদ্দিন খান বলেন,‘শঙ্খের সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় কাজ। তাই তার টিমের সঙ্গে একটা অন্যরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে আমার। পরিচালক আমাকে যথেষ্ট সময় দেন, কাজ করার স্পেস দেয়। এতে ক্যারেক্টার কঠিন হলেও সেটি ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়।

গুটির কাজ করতে দুটো বিষয় চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা হলো ভাষা। ঢাকার ভাষা শিখতে ১৫ দিন সময় দিতে হয়েছে। যেখানে অভিনেতা সাহেদ আলী সুজনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আরেকটা হলো সিএনজি চালানো। একজন সিএনজি চালক আমাকে সিএনজি চালানো শিখিয়েছেন। কো-অ্যাক্টরের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাঁধন। তিনি বেশ দারুণ। আরও কিছু সহঅভিনেতা ছিলেন সবাই দারুণ। তাই কাজ করতে কষ্ট হয়নি। সব মিলিয়ে গুটি একটা ভালো প্রোডাকশন হবে বলে ধারণা করছি।’

পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত বলেন, ‘চরকির সাথে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে ছিলাম। চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে আমাদের সব শ্যুটিং হয়েছে। অভিনেতাসহ পুরো দলটা ছিল খুব দুর্দান্ত। এখন টেনশনে আছি এটা ভেবে যে দর্শকদের কেমন লাগবে।’