logo
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১১
নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছেন বাইডেন
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছেন বাইডেন


যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পরাজয় আঁচ করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন তার সঙ্গে কাজ করেন।
এ ব্যাপারে বাইডেন বলেছেন, আমি মনে করি মার্কিনিরা পরিস্কার করে বলেছে, তারা চায় রিপাবলিকানরা আমার সঙ্গেও কাজ করুক। একইসাথে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ ব্যাপারে আগামী বছরের শুরুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ৪০২টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাটসরা পেয়েছে ১৯২টি আসন, আর রিপাবলিকানরা পেয়েছে ২১০টি আসন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে, সেখানে রিপাবলিকানদের মাত্র ৮টি আসন লাগে।

অন্যদিকে, উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৯৬টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাটসরাও রিপাবলিকানরা উভয় দলই পেয়েছে ৪৮টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১০০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫১টি আসনে জয় পেতে হবে।
রিপাবলিকানদের হাতে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ চলে গেলে আগামী দুই বছর নিজের চাহিদা মতো সেখানে আইন প্রণয়ন বা অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে পারবেন না জো বাইডেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিভিন্ন তদন্তও চালাতে পারেন রিপাবলিকানের সদস্যরা।

এদিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ধারণা করা হচ্ছিলো প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে রিপাবলিকানরা। তবে ডেমোক্র্যাটসদের এমন লজ্জায় পড়তে হচ্ছে না। যদিও তারা সংসদের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে কিন্তু ব্যবধানটা খুব বেশি হবে না।
তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটসদের ওপর সাধারণ ভোটাররা আস্থা না রাখার বিষয়টি দেখাচ্ছে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে সন্তুষ্ট না। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মূদ্রাস্ফীতি। সাধারণ মানুষের ব্যয় বেড়েছে অনেকাংশে।

অপরদিকে রিপাবলিকানদের ওপরও সাধারণ মানুষ খুব বেশি আস্থা রাখেনি। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় ক্যাপিটল হিলে রিপাবলিকান সমর্থকরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিলো সেটি মাথায় রেখেই ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

সূত্র: রয়টার্স