logo
আপডেট : ৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৯
অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো: পাক প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো: পাক প্রধানমন্ত্রী


পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
চাকরির পেছনে না ছুটে খাদ্য উৎপাদনে যুক্ত হতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতির উচিত হবে বিশৃঙ্খলা ও সংশয় এড়াতে ফুল কোর্ট কমিশন গঠন করা। তিনি বলেন, ‘যদি আমার আবেদন না শোনেন তাহলে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠবে’।
শাহবাজ শরিফ বলেন, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যেখানেই ডাকা হবে আমি যাবো। তিনি এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে শিগগির একটি চিঠি লেখার কথা জানান এবং এটি বিচারের জন্য গৃহীত হবে বলে মনে করেন। দেশের স্বার্থে এই কমিশন গঠন জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান খানের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির কথাও বলেন শাহবাজ শরিফ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও এক সামরিক কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। যদি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয় তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার কারণে চীন সফর শেষে তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বাতিল করেন। হামলায় আহত ইমরান খান ও অন্যান্যদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন শাহবাজ শরিফ।
তিনি আরও বলেন, এই হামলা একটি নিন্দনীয় ঘটনা। যখন মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তখন এটা আমার দায়িত্ব যে আমি জনগণকে রক্ষার জন্য একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করি’। তিনি পিটিআই প্রধানকে তার অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বানও জানান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) লংমার্চের সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ইমরান খানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন। এখনও লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান খান। পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন, দু’একদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।