logo
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:২১
শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে


লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগের পাঁচদিনেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ধর্ষণের বর্ণনা দেন নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্র রায় (৩০) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজার মীরের বাড়ি এলাকার মৃত মনরঞ্জন রায় খোকার ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে গাইবান্ধা জেলায় কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্র রায় সন্তান ও স্ত্রীকে দেখতে ছুটি নিয়ে গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) শ্বশুরবাড়ি আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম দৈলজোড় পাঁচপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসেন। শ্বশুরবাড়ির পাশে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলায় পাড়ার অনেকেই সেখানে ব্যস্ত ছিলেন। তার গোত্রীয় কাকা শ্বশুরের মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) বাড়ির নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিল।

ওই দিন রাত ১১টার দিকে স্কুলছাত্রীর ঘরের দরজা কৌশলে খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্র রায়। এরপর ওড়না দিয়ে মেয়েটির মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওড়না মুখ থেকে সরে গেলে স্কুলছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে লম্পট দুলাভাই পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্রকে আটক করে।
বিপুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আটক বিপুল চন্দ্রকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। পরে স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্রকে প্রধান করে তার শ্যালক ও শ্যালকের বউয়ের বিরুদ্ধে পরদিন রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিলের পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বলে বাদীর অভিযোগ।
নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা বলেন, বিপুলের শ্বশুররা প্রভাবশালী। বিপুল নিজে পুলিশে চাকরি করে। পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি এ জন্য কোনো প্রতিকার পাইনি। আসামি গ্রেপ্তার তো দূরের কথা পাঁচদিন হলেও কেউ তদন্তে আসেনি। পুলিশ বলে কি তার অপরাধের বিচার হবে না?

আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, একটু আগে অভিযোগটি তদন্তের জন্য অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মত একটি ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আজকে জেনেছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।