logo
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২২ ১৮:১৩
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা


আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার ভোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানো শেষে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব ওনার প্রদানসহ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।

এসময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবু-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগের নেতাকর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ধানমণ্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যান রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। সেখানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের কবরে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এর বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা গেছে।

১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

 

সেই রাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ছাড়াও তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসেরকে হত্যা করে।

নিহত হন বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপুত্র সুকান্ত বাবু; বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকট আত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু।

বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ধানমণ্ডির বাড়িতে পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান।