logo
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২২ ১৪:৫২
২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে: সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে: সিইসি


সময়মতো আগামী সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বসে ইসি। এসময় সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিইসি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচন হবে সময় মতো। বর্তমান কমিশন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এসেছে, ডিগবাজি নয়। নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করতে চায় কমিশন।

এসময় সিইসি বলেন, পেশীশক্তি ও ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটার জন্য কমিশন একা কিছু করতে পারবে না, রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংস্কৃতি বের আসতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সাথে ধারাবাহিক সংলাপ করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপ চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার চারটি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চারটি দলের মধ্যে একটি দল সংলাপে বসবে না বলে জানিয়েছে ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক।

ইসির আজকের সংলাপের তালিকায় দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জমিয়েতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিকল্পধারা বাংলাদেশ, দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসির সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় প্রতিদিনই চারটি করে দলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে যেদিন বসবে সেদিন তিনটি দল এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেদিন বসবে সেদিন দু’টি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি দল ১০ জন করে সদস্য নিয়ে বৈঠকে অংশ নিতে পারবে।

এদিকে অনুষ্ঠেয় সংলাপে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি-জাপা ও বিএনপির জন্য দুই ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বিএনপি ইসির সংলাপে অংশ নেয়নি। বিএনপি ইসির সংলাপে অংশ না নিলেও আউয়াল কমিশন তাদের জন্য অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন সিইসি। বাকি ৩৬টি নিবন্ধিত দলের জন্য রাখা হয়েছে ১ ঘণ্টা করে সময়।