ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:১৯

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবে ২০২৬ সালে

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবে ২০২৬ সালে


সাগরের নীল জলরাশির বুক চিরে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ী। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে নকশা প্রণয়ন। এ গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশ (এসআরএফবি) এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধি দল মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর দৃশ‍্যমান হয়েছে। এ লক্ষ‍্যে আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ‍্যিক হাব হবে।
তিনি বলেন, গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পার্সনরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছে।

তিনি আরও বলেন,সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ সময় অন‍্যান‍্যদের মধ‍্যে সংসদ সদস‍্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম‍্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাগরপথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি। এখানে এক হাজার ৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হবে এই বন্দর। বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরির পাশাপাশি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খননযন্ত্র ‘ক্যাসিওপিয়া–ফাইভ’ দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। লবণের মাঠ খনন করে বানানো হয়েছে সাগর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের পথ। সেইসাথে কৃত্রিম এই চ্যানেলে যাতে ঢেউ না আসে, সে জন্য তীর থেকে সাগরের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দেয়া হয়েছে বাঁধ।

উপরে