ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:০৪

শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চার আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে

নড়াইল প্রতিনিধি
শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চার আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে


নড়াইলে কলেজ শিক্ষককের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা চার আসামিকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে সদর আমলি আদালতের বিচারক রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব কুমার বসু বলেন, আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহামুদুর রহমান। সদর আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ আমাতুল মোর্শেদা শুনানি শেষে আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন, রহমত উল্লাহ রনী গাজী, শাওন খান, মনিরুল ইসলাম ও সৈয়দ রিমন আলী।

অপরদিকে নড়াইলে পুলিশের সামনে কলেজ শিক্ষককে গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবিরকে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাকে সদর থানা থেকে খুলনা আরআরএফ এ সংযুক্ত করা হয়। পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নড়াইলে কলেজ শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় সদর উপজেলার মির্জাপুর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরসালিন বাদী হয়ে গত ২৭ জুন ১৭০ থেকে ১৮০ জন আজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন- প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মোছেনি রাহুল। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান।

এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও কর্মকর্তাদের সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

উপরে