ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২৮

হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর তাগিদ


স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করি। আমাদের সবার সম্মিলিত ইচ্ছা থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও ভালো করতে পারি আমরা। এ পরিবর্তন আমাদের করতে হবে। অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করবে না। ডাক্তাররা যেন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে থাকে সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা পর্যায়ক্রমে সেটা করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
রোগীরা যেন হাসাপাতালে এসে ভালো চিকিৎসা পায়, সেটি নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদাণে চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালিক বলেন, অনেক হাসপাতালে রোগী বেশি হওয়ার কারণে ডাক্তারদের কাজের চাপ বেশি থাকে। যেখানে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা, সেখানে যদি দশ জন বা আটজন ডাক্তার থাকে, তাহলে চাপতো বাড়বেই। আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

হাসপাতালগুলোর নোংরা পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে একজন পরিচালক রয়েছেন। টয়লেট যদি অপরিষ্কার থাকে, হাসপাতাল যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে, হাসপাতালে যদি পানি না থাকে, তাহলে সেই পরিচালকের কাজ কী, তিনি কী করেন? হাসপাতালের যন্ত্রপাতি যদি ফাংশনাল না থাকে তাহলে তার কাজটা কী? বেশিরভাগ রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন বাইরে বেসরকারিভাবে করে?

স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, রোগীরাও যেন হাসপাতালে এসে ভালো পরিবেশ এবং চিকিৎসা পায়। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এসে কেউ যদি দেখে ডাক্তার নাই, তাহলে তার অনুভূতিটা কেমন হবে? পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা এক্সরে করতে গিয়ে যদি দেখে মেশিন খারাপ, তাহলে কেমন হয়? এ বিষয়গুলো যেন না ঘটে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা হাসপাতাল তৈরি করেছি মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। মানুষ চিকিৎসা পেলে আমাদের চাকরি থাকবে। জনগণের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে আগামীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও ভালো হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার টিটো মিয়া।

জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদাণে চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক ফলাফল উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক ডা. মো. খালেকুজ্জামান।

উপরে