ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
আপডেট : ৫ জুন, ২০২০ ১৮:১২

মহাকাশযানের গ্রহাণু অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশযানের গ্রহাণু অভিযান


‘অসিরিস-রেক্স’ যাত্রা শুরু করেছে ২০১৬ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর। সেটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নিয়েছে ‘অ্যাটলাস-ভি’ রকেট। প্রায় সাত বছরের এই অভিযানে ‘বেনু’ গ্রহাণু থেকে মূল্যবান নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার কথা। প্রায় ৫ লক্ষ গ্রহাণুর মধ্যে ‘বেনু’-কেই গন্তব্য হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে, কারণ তার কক্ষপথ পৃথিবীর খুব কাছে। তাছাড়া আয়তনের দিক থেকেও আদর্শ। নাসার তথ্যভাণ্ডারে অন্যতম প্রাচীন গ্রহাণু এটি।
লাভ-লোকসানের হিসেব
প্রায় ৮০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রায় ৪৫,০০০ কোটি বছর আগের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। সেখান থেকে ধুলাবালি, ধাতু ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ২০২৩ সালে ‘অসিরিস-রেক্স’ আবার ঘরে ফিরে আসলে বিজ্ঞানীরা মূল্যবান জ্ঞান অর্জনের আশা করছেন। ‘অসিরিস-রেক্স’-এর আকার একটি এসইউভি গাড়ির মতো হলেও অত্যন্ত উন্নত যন্ত্রপাতি ভরা রয়েছে। নানা রকমের ক্যামেরা, লেজার, স্পেকট্রোমিটার এই প্রথম কোনো গ্রহাণুর মধ্যে ধাতুর বিন্যাস পরীক্ষা করবে।
গ্রহাণুতে অনেক কাজ
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ‘অসিরিস-রেক্স’-এর ‘বেনু’ গ্রহাণু পৌঁছানোর কথা। সেখানে প্রায় দু-বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত থাকবে যানটি। তারপর ২০২০ সালের জুলাই মাসে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হবে৷ তবে সরাসরি গ্রহাণুর ‘মাটি’ ছোঁবে না এই যান।
গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকে অ্যাপোলো অভিযানের পর এত পরিমাণ মহাজাগতিক নমুনা পৃথিবীতে আনা হয়নি। নাসা আশা করছে, ‘অসিরিস-রেক্স’ এই কাজে অত্যন্ত সফল হবে। ‘ট্যাগস্যাম’ নামের এক যন্ত্র ভাসমান যান থেকে হাত বাড়িয়ে সেই কাজ করবে।
পৃথিবীর জন্য বিপদ
এই অভিযানের আরেকটি উদ্দেশ্য ‘ইয়ারকভস্কি এফেক্ট’ সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করা। সূর্যের আলো গ্রহাণুদের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করার ফলে তারা বিপথগামী হয়ে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। এমন ঝুঁকির আগাম পূর্বাভাষ দিতে চান বিজ্ঞানীরা। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

উপরে