ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০২০ ১৫:১৬

যন্ত্র নয়, ‘কৃত্রিম মানব’ বানিয়ে সাড়া ফেললো স্যামসাং!

টেক ওয়ার্ল্ড ডেস্ক
যন্ত্র নয়, ‘কৃত্রিম মানব’ বানিয়ে সাড়া ফেললো স্যামসাং!


যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজিউমার ইলেট্রনিক্স শো’তে (সিইএস) আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম মানব ‘নিওন’। যে তার সঙ্গীর দুঃখে সান্ত্বনা দেবে প্রিয় বন্ধুর মতোই। সঙ্গীর আনন্দে পরিবারের সদস্যদের মতোই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে একেবারে মানুষের গলায়। ভাষাও বাধা নয় তার কাছে। নিওন কথা বলতে পারবে বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক ভাষায়। আর এই কৃত্রিম মানব তৈরি করে সাড়া ফেলেছে টেক জায়ান্ট স্যামসাং।

এর আগে অ্যালেক্সা, বিক্সবি বা সিরি যেমন ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা যন্ত্রমানব নিয়ে এসেছিল তার চেয়ে ভিন্ন এই প্রযুক্তি। আর এজন্যই নিওনকে ‘যন্ত্রমানব’ না বলে ‘কৃত্রিম মানব’ বলছে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, ‘নিউ হিউম্যান’ থেকে আসা শব্দ ‘নিয়ন’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের বলে বলীয়ান এমন এক হিউম্যানয়েড (মানুষের যান্ত্রিক প্রতিরূপ) অবতার, যে তার সঙ্গীর সাথে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারবে একেবারে মানুষের মতোই ন্যূনতম সময়ের প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়। নিওন’কে নিয়ে কাজ চলছে স্যামসাংয়ের স্টার ল্যাবরেটরিতে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কনজিউমার ইলেট্রনিক্স শো’তে যা হয়েছে তা কম্পিউটারে তৈরি করা প্রজ্ঞা ও অনুভূতির মিশেলে এক কৃত্রিম মানব, যাকে কর্তৃপক্ষ যে কোনো কাজ করানোর জন্য প্রোগ্রামিং করেছেন।আরও গ্রাহকবান্ধব, মানবিক এবং চিন্তাশীল করে তুলতে ‘রিয়েলিটি, রিয়েল টাইম রেসপনসিভনেস’, থ্রি-আর মিশ্রণে আগামী দিনের অপেক্ষা করছে তারা। যখন এই কৃত্রিম মানব বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে, তখন তাকে পাইলট প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্যামসাং। চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিতব্য ‘নিওনওয়ার্ল্ড ২০২০’ প্রদর্শনীতে দেখানো হবে নিওনের মূল চালিকাশক্তি স্পেকট্রা প্রযুক্তির খুঁটিনাটি। তখন দেখা যাবে নিওনের আরও উন্নত সংস্করণ। প্রতিষ্ঠানটি আরও দাবি করেছে- বিহেভিয়ারাল নিউরাল নেটওয়ার্ক, ইভোলিউশনারি জেনারেটিভ ইন্টেলিজেন্স এবং কম্পিউটেশনাল রিজনিং রিয়্যালিটির মিশেলে তৈরি নিওন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে পৌঁছে দেবে আগামী দিনের বিজ্ঞানের সিঁড়িতে। যার ফলে এখন নিওন শুধুমাত্র অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম নির্ভর হলেও আগামী দিনে স্পেকট্রার বলে বলীয়ান হয়ে হিউম্যান ইমোশন, ইন্টেলিজেন্স এবং এক্সপ্রেশনকে পৌঁছে দেবে অন্য স্তরে। যার ফলে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে কৃত্রিম মানবের সঙ্গে সত্যিকার মানুষ আলাদা করা।

উপরে