ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:৪৬

উগ্রপন্থী তৎপরতার অভিযোগে ২৩১ বিদেশিকে বহিষ্কার করলো ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক
উগ্রপন্থী তৎপরতার অভিযোগে ২৩১ বিদেশিকে বহিষ্কার করলো ফ্রান্স


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্সে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবেলার অজুহাতে সেদেশে মুসলমানদের ওপর চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ফ্রান্স সরকার উগ্রপন্থী তৎপরতার অভিযোগ এনে ২৩১ জন বিদেশি নাগরিককে সেদেশ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একজন চেচেন নাগরিকের হাতে ফ্রান্সের এক শিক্ষক নিহত হওয়ার পর দেশটির সরকার উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ২৩১ জন নাগরিককে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান বাস করে ফ্রান্সে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই দেশটিতে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী প্রচার সবচেয়ে বেশি এবং প্রায়ই বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ(সা.) এর প্রতি অবমাননার ঘটনা ঘটছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফরাসি সরকার ২৩১ জন বিদেশিকে বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রকৃত অপরাধীদেরকে আড়াল করার প্রচেষ্টা মাত্র এবং মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বে ব্রিটেনের মতো ইউরোপের ফ্রান্সসহ আরো বেশ কিছু সরকার পশ্চিম এশিয়ায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আইএস সন্ত্রাসীদের গড়ে তোলার পেছনে পাশ্চাত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এ অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েল বিরোধী প্রতিরোধ ভেঙে ফেলা। ফ্রান্সের তৈরি সন্ত্রাসীরাই যখন ফ্রান্সে হামলা চালাচ্ছে তখন তারা দায়ভার ইসলাম ও সমগ্র মুসলমানদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।

উপরে