ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:১০

চীনে ‘জবরদস্তি শ্রমে’ তৈরি পণ্য এইচঅ্যান্ডএম কিনে আনবে না

অনলাইন ডেস্ক

চীনে ‘জবরদস্তি শ্রমে’ তৈরি পণ্য এইচঅ্যান্ডএম কিনে আনবে না


উইঘুর মুসলিম জনঅধ্যুষিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ‘জবরদস্তি শ্রম’ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়েছে সন্দেহ হলে, ওই পণ্য সুইডিশ ফ্যাশন হাউস এইচঅ্যান্ডএম কিনে আনবে না। যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াং থেকে ৫ ধরনের পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক দিন পরই সুইডেনের ফার্মটি তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। এইচঅ্যান্ডএম বলেছে, তারা আর কাঁচামাল হিসেবে জিনজিয়াংয়ের তুলা কিনবে না। চীনের ওই প্রদেশের কোনো গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির সঙ্গেও তারা কাজ করবে না। ফার্মটি জানায়, ‘আমরা ওখানে অনুসন্ধান চালিয়েছি। ওরা লেজার ট্রান্সফার বা এমপ্লয়মেন্ট স্কিম কার্যক্রম বলে যা চালাচ্ছে তা জবরদস্তি শ্রম ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‘লপ কাউন্টি নাম্বার ফোর ভোকেশনাল স্কিল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে জিনজিয়াংয়ের প্রতিষ্ঠানটির খোঁজখবর নিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার কয়েকটি গ্রুপ। তারা বলেন, তথাকথিত ট্রেনিং সেন্টারটি বন্দীশিবির হিসেবে কাজ করে।
ইউরোপের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও চীন সরকারের মানবাধিকার রেকর্ড খতিয়ে দেখছে। জার্মানির প্রখ্যাত সিমেন্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জো কায়েসার ‘দাই জেইত’ পত্রিকাকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি উদ্বেগের সঙ্গে হংকং ও জিনজিয়াং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল ১৪ সেপ্টেম্বর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকং পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশঙ্কা : ১৮ লাখ উইঘুর মুসলমানকে বন্দীশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।

উপরে