logo
আপডেট : ১০ মে, ২০২০ ১৬:৫৪
মার্কেট খুলেছে ক্রেতারাও আসছেন
অনলাইন ডেস্ক

মার্কেট খুলেছে ক্রেতারাও আসছেন


দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ২৪ ঘণ্টায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৮৮৭ জন আক্রান্ত ও ১৪ জনের মৃত্যু হলো আজ (১০ মে)। এই দিনেই ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর কোনো কোনো শপিং মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। মার্কেটও যেমন খুলেছে, তেমনি ক্রেতারাও আসছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মার্কেট ও দোকানপাটে প্রবেশ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারাও বেশ সতর্ক। মার্কেট বা দোকানপাটে প্রবেশপথে তারা বসিয়েছেন জীবানুনাশক স্প্রে মেশিন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জুতা জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা।
আজ দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি ও জিগাতলা এলাকার বেশকিছু মার্কেট সরেজমিনে ক্রেতাদের ভিড় দেখতে পান। অনেকেই জানিয়েছেন, ঈদের বাজার নয়, গত প্রায় ২ মাস মার্কেট পুরোপুরি বন্ধ থাকায় বাসায় পড়ার জামা-কাপড় ও নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবহার্যসামগ্রী কিনতে তারা মার্কেটে এসেছেন।
দুপুর ১টায় নিউমার্কেট ওভার ব্রিজ সংলগ্ন নিউ সুপার মার্কেটের নিচ তলায় দেখা যায়, ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছেন। লাইনে দাঁড়ানোর পরপরই তাদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এরপর তাদের বিশেষভাবে তৈরি জীবাণুনাশক ঘরে প্রবেশ করিয়ে স্প্রে করে তবেই মার্কেটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। মার্কেটের বাইরে হ্যান্ডমাইক হাতে নিরাপত্তা প্রহরীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মার্কেটে প্রবেশের আহ্বান জানাচ্ছেন।
সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে এলিফ্যান্ট রোড পর্যন্ত সব দোকান খোলা না থাকলেও পাঞ্জাবি ও কিছু কিছু ব্র্যান্ড আইটেমের দোকান এবং প্রায় সব জুতার দোকান খোলা দেখা যায়। ‌ সাইন্স ল্যাবরেটরিতে আরংয়ের শোরুমটি খোলা থাকায় সেখানে ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। সেখানেও ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে একটু এগোলেই বেক্সিমকো গ্রুপের ইয়েলো শোরুম খোলা দেখতে পাওয়া যায়। সেখানেও জুতা জীবাণুনাশক থেকে শুরু করে, হাত পরিষ্কারের তবেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
ধানমন্ডিতে আলমাস ও ইউনিমার্টের শোরুমে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা যায়। অনেকেই শপিং ব্যাগ হাতে বেরিয়ে আসছিলেন।আলমাসের শোরুম থেকে বেরিয়ে আসা এক নারীর কাছে কী কিনলেন, জিজ্ঞেস করতেই ওই নারী কিছুটা বিব্রত হয়ে বলেন, 'ঈদের কিছু কিনতে আসেনি। স্কুলপড়ুয়া মেয়ের জন্য ঘরে পড়ার দুটি জামা কিনলাম। গত দুমাস যাবত মার্কেট বন্ধ থাকায় এ কেনাকাটা অত্যবশ্যক হয়ে পড়েছিল।'