মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে আলোচনা চলছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে ভিন্নমত আছে। এ নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের সম্পর্ক সুখকর নয়। কিন্তু সেটাতো অন্যদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব আসার কথা নয়। মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। মুজিববর্ষে ভারতকে আমন্ত্রণ করার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারত হচ্ছে সর্বোচ্চ সাহায্য দানকারী দেশ। শরণার্থীদের তারা সহযোগিতা করেছে। অস্ত্র ও ট্রেইনিংয়ের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তাই ভারতকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো অকৃতজ্ঞতার পরিচয় আর অসম্পূর্ণ বিষয় হিসেবে থেকে যায়।
তিনি বলেন, ভারতকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী দেশ, প্রধান মিত্র দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করেছি। তাদের দেশের অভ্যন্তরের কোনো বিষয়ে যে সংঘাত, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক বিরোধ; সেটাকে চিন্তা করে তো আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। আর তাদের অভ্যন্তরীণ কোনো সংঘাতে আমাদের এখানে কোনো বিরোধ বা প্রতিক্রিয়া হলে সে বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এরকম একটা অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী দেশের প্রতিনিধিত্বকে বাদ দেব, এটাতো চিন্তাও করা যায় না। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ এসব কথা বলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে যা হচ্ছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও এসময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা কেন নাক গলাতে যাবো?
কাগজে-কলমে দুদককে স্বাধীন বলা হলেও বাস্তবে স্বাধীন বলা যায় না। সরকার যতটুকু চায়, দুদক ততটুকু স্বাধীন থাকে-ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি ফলোআপ গবেষণার এমন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের অনেক এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদি দুদক স্বাধীন না হতো তাহলে সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কিভাবে এনেছে? যারা এ প্রশ্ন করেছে তাদের কাছে আমার পাল্টা প্রশ্ন রইল।