logo
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৫:১৬
সিদ্দিক নয়, মীমের হেফাজতে থাকবে ছেলে আরশ: আদালত
অনলাইন ডেস্ক

সিদ্দিক নয়, মীমের হেফাজতে থাকবে ছেলে আরশ: আদালত


স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও পরকীয়ায় আসক্তির অভিযোগ এনে স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর ডিভোর্স দেন মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিম। এরপর এক মাত্র ছেলে আরশ হোসেনকে নিজের কাছেই রেখে দেন সিদ্দিক। একজন ‘মা’ হিসেবে নিজের ছেলের কাছ থেকে দূরে থাকা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি আলোচিত এই অভিনেত্রী। তাই শিশুকে কাছে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন মা মারিয়া মিম। শিশুটিকে হেফাজতে নিতে মারিয়া মিমের করা সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি), সাড়ে ছয় বছর বয়সী শিশু আরশ হোসেন তার মায়ের হেফাজতে থাকবে বলে আদেশ দেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানতে মারিয়া মিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিডি২৪লাইভকে তিনি জানান, ‘একজন মা হিসেবে এর থেকে আর বড় পাওয়া কি হতে পারে? নিজের সন্তানকে এতদিন পর নিজের কাছে পাবো। এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের। বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) পর থেকেই তারা আমার ছেলেকে আমার থেকে দূরে রেখেছে। তার সাথে কোনো যোগাযোগ করতে দেয়নি।’ শিশুর ভরণপোষণ কে বহন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তার ভরণপোষণ সম্পর্কে আদালতে কোনো মামলা করিনি, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আরশকে কাছে পাওয়া। তাই ভরণপোষণ আমাকেই বহন করতে হবে।’ কত বছর পর্যন্ত আরশকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন, আদালত এ বিষয়ে কোনো সময় বেঁধে দিয়েছে কি না জানতে চাইলে মিম বলেন, ‘আরশ আমার কাছেই থাকবে। আদালত থেকে কোনো সময়ের কথা বলা হয়নি। তবে সপ্তাহে দুইদিন সে (আরশ) বাবার কাছে যেতে পারবে।’ আদালত প্রাঙ্গনে আরশকে দূর থেকে দেখলেও তার সাথে কোনো কথা হয়নি বলে জানান মিম। মিম বলেন, ‘আদালতের রায় মোতাবেক আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে আমার হাতে তুলে দেয়া হবে।’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মিম জানান, ‘ আপাতত একজন মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই। সাথে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছি। নিয়মিত কাজ করছি।’ নিকট ভবিষ্যতে বিয়ের পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মিম হেসে উত্তর দেন, ‘আপাতত এসব নিয়ে ভাবছি না, নিজের সন্তান আর ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই।’ প্রসঙ্গত, আদালতে শিশু আরশ হোসেনের মায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। অন্যদিকে, শিশুর বাবা ছিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। আজ সকালে বাবার হাত ধরে শিশুটি আদালতে আসে। রায় ঘোষণার সময় মা মারিয়া মিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালে তারা আরশ হোসেন নামে এক পুত্রের বাবা-মা হন। সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত অনেক দিন ধরেই। বিয়ের পর মিম চাইতেন নিয়মিত কাজ করতে। কিন্তু সিদ্দিক চাইতেন না তার স্ত্রী শোবিজে কাজ করুক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। তৈরি হয় মনোমালিন্য। এমনকি সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগও পাওয়া যায়। এসকল অশান্তিই তাদের ঠেলে দেয় বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে।