logo
আপডেট : ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ১৫:৫০
সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলায় যে ছক কষছে ইসি
অনলাইন ডেস্ক

সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলায় যে ছক কষছে ইসি


উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বৈঠক আজ বিকাল ৩টায় বসবে নির্বাচন কমিশন।বৈঠকে নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি’র মহাপরিচালক, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান এবং দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলেছে ইসি।


 
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ২ দিন এবং পরের একদিন মোট ৪ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি ৫ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। অর্থাৎ ভোটের পাহারায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের পাঁচ দিন (৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) নিয়োজিত রাখার প্রস্তাব করবে ইসি।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচন পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা, চিহ্নিত অপরাধী ও নির্বাচন বিঘ্ন সৃষ্টকারী সম্ভাব্য দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া বিষয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়াও নির্বাচনী সরঞ্জাম পরিবহন ও সংরক্ষণে নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনী আইন এবং আচরণ বিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের পরিবেশ সুগম করা, নির্বাচনী এলাকায় ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ও আলোচ্যসূচিতে আছে।

বৈঠকের আলোচনার জন্য তৈরি করা ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের প্রস্তাব থাকছে। সাধারণ কেন্দ্রে একজন এসআই অথবা এএসআই’র নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ আনসার দুজন ও ১০জন অঙ্গীভূত আনসার মোতায়েন করা হবে।

আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের সংখ্যা দুইজন বেশি থাকবে। আর ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করবে। সেই হিসাবে দুই সিটির ভোটে অর্ধলক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে নির্বাচনী দায়িত্বে।

ভোটকেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তা বিষয়ে কার্যপত্রে ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৫৪টি মোবাইল ও ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৫৪টি টিম ও ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭৫টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৭৫টি মোবাইল ও ২৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৭৫টি টিম ও ৩৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সংখ্যা কম-বেশি করার সুযোগও থাকবে।