logo
আপডেট : ৩০ জুন, ২০১৯ ১৭:০৬
অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আড়াই মাসেও মেলেনি গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয়
সিদ্দিকুর রহমান সুমন,মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

আড়াই মাসেও মেলেনি গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয়

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বরাটি গ্রামে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর মেলেনি এক ব্যক্তির পরিচয়। গত ৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বরাটি গ্রামে গণপিটুনিতে তিনি মারা যান ।তিনি ওই গ্রামের প্রবাসী মিনজু খানের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন ।মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক(এস আই) রিপন নাগ জানান,ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩২ বছর ।তিনি বরাটি সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন সময় দিনমজুরের কাজ করতেন।কাজের সুবাদে তিনি তার নাম মালেক বলে পরিচয় দেন ।কাজের সূত্র ধরে ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তিনি নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত মিষ্টি নিয়ে প্রবাসী মিনজু খানের বাড়িতে যান।সেখানে উপস্থিত প্রবাসী মিনজু খানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম তার দুই মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ও আয়েশা সিদ্দিকা সহ বরাটি জামে মসজিদের ইমাম রুহুল আমিনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত মিষ্টি খাওয়ান। যা খাওয়ার পর তারা অচেতন হয়ে পড়েন। বাড়ির মানুষ অচেতন হয়ে পড়লে তিনি বাড়ির মালামাল চুরি করে পালানোর সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। সঙ্ঘবদ্ধ এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেন।গণপিটুনিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ রাতেই তিনি মারা যান।প্রবাসীর স্ত্রী সহ অসুস্থ চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান ।এ ব্যাপারে অজ্ঞাত নামা প্রায় ৮০জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয় ।তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এস আই রিপন নাগ জানান,নিহত ব্যক্তির মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।