logo
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৩:৪০
‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইনের পক্ষ নিয়ে যা বললেন কঙ্গনা
অনলাইন ডেস্ক

‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইনের পক্ষ নিয়ে যা বললেন কঙ্গনা

বর্তমানে ভারতে ‘লাভ জিহাদ’  একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। মুসলিম যুবকরা হিন্দু যুবতীদের সঙ্গে প্রেম করে  বিয়ে করাকেই দেশটিতে ‘লাভ জিহাদ’ নামে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এবার এই ইস্যুতে নিজেকে জড়ালেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

ভারতের উত্তরপ্রদেশের পরে মধ্যপ্রদেশেও পাশ হয়েছে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইন। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে নতুন আইনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কঙ্গনা।

নতুন ছবি ‘ধাক্কড়’-এর সদস্যদের নিয়ে শনিবার সে রাজ্যে যান বলিউড তারকা। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের।

ওই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কঙ্গনা বলেন, “মনে হচ্ছিল পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে দেখা হয়েছে।”

শিবরাজের কাছে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইনের প্রশংসা করে কঙ্গনার মত, এই ধরনের আইনের খুব প্রয়োজন ছিল। এর সাহায্যে ভুয়া বিয়ের হাত থেকে আক্রান্তদের বাঁচানো যাবে। মধ্যপ্রদেশে আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত বলেও জানান।

সদ্যই মধ্যপ্রদেশে পাশ হয়েছে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইন। তাতে ভিনধর্মে বিয়ের নামে ধর্মান্তকরণে চাপ দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে নতুন আইনে।

এদিকে ভোপালে এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনায় ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ এনেছেন পরিবারের সদস্যরা। আদিল খান নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত।

এদিন বিজেপি নেত্রী ইমারতি দেবীর সঙ্গেও দেখা করেন কঙ্গনা। এই নেত্রীকেই ‘আইটেম’ বলে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। ইমারতি দেবীর সঙ্গে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের সামনে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। মেয়েদের ওপরে হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি ‘লাভ জিহাদ’ আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয় হাইকোর্ট পিটিশন দায়ের করেছেন কয়েকজন আইনজীবী ও অধিকারকর্মী। পিটিশনকারীরা দাবি করেন, জননীতি ও বৃহত্তর সমাজের পরিপন্থী আইন পাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। একইসঙ্গে সংবিধানের মূল কাঠামোকে লঙ্ঘন করছে দুই বিজেপি-শাসিত রাজ্যের আইন।

মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, হরিয়ানা ও আসামের মতো রাজ্যও ‘লাভ জিহাদ’ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে, তা পিটিশনে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ড বা উত্তরপ্রদেশের বিষয় নয় এটি, কারণ ২০১৯ সালে একই ধরনের আইন পাশ করেছে হিমাচল প্রদেশ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতারা জানান, এ রাজ্যে নির্বাচনে জয়ী হলে একই ধরনের আইন চালু হবে।