logo
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ২১:১৫
যৌতুকের দাবিতে নববধূকে পিটিয়ে হত্যা!
নিজস্ব প্রতিবেদক

যৌতুকের দাবিতে নববধূকে পিটিয়ে হত্যা!


নোয়াখালীর হাতিয়া মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংসভাবে এক নববধূকে যৌতুকের  দাবিতে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিক দু’জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে শনিবার নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত শাবনুর আক্তার (১৯) হরণি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বয়ারচর নবীনগর গ্রামের নূর ইসলাম বুদ্ধির মেয়ে।
শুক্রবার বিকালে পুলিশ নিহতের স্বামীর বাড়ি চানন্দি ইউনিয়নের মেস্তরী বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এর আগে, শুক্রবার সকালে উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের বাহার মেস্তরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম (৩৫) জানান, গত তিন মাস আগে উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার মিস্তিরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২৪)’র সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য ও ঘরের আসবাবপত্রের জন্য শাবনুরকে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্বামী। শুক্রবার সকালে মোরগকে খাদ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত শাবনুরের সাথে তার শাশুড়ি ও ননদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ শাবনুরকে বেধড়ক পিটিয়ে পেটে লাথি দিয়ে গুরুত্বর জখম করে এবং শরীর থেকে স্বর্ণালংকার খুলে নেয়। এক পর্যায়ে শাবনুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেলে পথিমধ্য থেকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে নিহতের স্বামী লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে প্রচার করে শাবনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এক পর্যায়ে নিহতের খালু আবুল কালাম ও তার খালা শাবনুরের শ্বশুর বাড়িতে এলে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম, তার মেয়েকে হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি ও ননদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।