logo
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২০ ১৭:০৮
করোনার সঙ্গে বেঁচে থাকাটাই এখন নিউ নর্মাল: টেড্রোস
অনলাইন ডেস্ক

করোনার সঙ্গে বেঁচে থাকাটাই এখন নিউ নর্মাল: টেড্রোস


বিশ্ব থেকে করোনা মহামারি বিদায় নেয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাততঃ দেখা যাচ্ছে না। তাই করোনার সঙ্গে লড়াই করে এই ভাইরাসকে সাথে নিয়েই বেঁচে থাকাটা এখন ‘নিউ নর্মাল’। এমনই মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
তিনি মনে করেন, আগামী মাসগুলোতেও এভাবেই থাকতে হবে। তাই ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকাটাই এখন ‘নিউ নর্মাল’জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে টেড্রোস বলেন, মরণব্যাধী করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ছয় মাস আগেও কেউ বুঝতে পারেনি এভাবে একটা ভাইরাস সবার জীবনের দখল নিয়ে নেবে। এখন গোটা বিশ্বকে পরিচালনা করছে করোনা।

কিছু দেশ করোনার বিরুদ্ধে ভালো কাজ করছে বলে জানিয়ে হু প্রধান বলেন গোটা বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮ জন। মারা গিয়েছেন ৫ লাখের বেশি মানুষ। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে সারা পৃথিবীতে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আর কোনও রোগে হয়নি।
তিনি মনে করেন, বিশ্ব থেকে এখনই করোনা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে তাকে নিয়েই বেঁচে থাকাটা এখন নিউ নর্মাল জীবনের অংশ। আর আগামী মাসগুলোতেও এভাবেই থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস জানান, সব দেশই এখন কঠিন প্রশ্নের মুখে। ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচাটাই এখন নিউ নর্মাল জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে করোনার উৎস খুঁজতে চীনে আরও একবার বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেননা সংস্থাটি মনে করছে এই ভাইরাসের উৎস না জানা গেলে একে নিধন করা সম্ভব না।
উল্লেখ্য, করোনার উৎস সন্ধানে ডব্লিউএইচও’র টিমকে আমন্ত্রণ জানাতে মে মাস থেকেই চীনকে চাপ দিচ্ছে সংস্থাটি। এবার জুলাই মাসে সংস্থার বিশেষ টিম বেইজিং যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে।
এ সম্পর্কে টেড্রোস বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহে একটি দল চীনে পাঠাব। আমরা আশা করছি ভাইরাসটির উৎপত্তি কীভাবে ও কোথা থেকে হয়েছিল তা বুঝতে সক্ষম হব।’