ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৩০

টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

অনলাইন ডেস্ক
টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গত চার দিন ধরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ।  রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়ায় গরম কাপড় পরেও কমছে না শীত। নিম্নআয়ের পরিবারগুলো রয়েছে চরম দুর্ভোগে।

দিনে সূর্যের আলো থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।

বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার ওপর দিয়ে, যা আরও কয়েক দিন থাকবে।

এদিকে ঠাণ্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার মহিজন বেওয়া জানান, আমার বোন, তার শাশুড়ি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমি নাগেশ্বরী থেকে এসেছি তাদের দেখভাল করতে। এ এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে শীতজনিত রোগে ভুগছে কেউ না কেউ।

একই এলাকার বাসিন্দা নয়ন জানান, শীতে বয়স্ক মানুষ শ্বাসকষ্ট আর সর্দি-কাশিতে কাহিল হয়ে পড়েছে। যে ঠাণ্ডা তাতে কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না।

সদরের ধরলা নদী তীরবর্তী চর ভেলাকোপায় বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের আজাদ ও কামাল জানান, শীতের কারণে আমাদের বেশ কয়েকজন শয্যাশায়ী। ঠাণ্ডার কারণে বাইরে কাজে বের হতে না পেরে খুব কষ্টে কাটছে তাদের দিন।

এখানকার গৃহবধূ তানজিলা ও রোশনা জানান, ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে বাড়ির গৃহবধূরা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করায় হাত পা অসার হয়ে যায়।  তাদের দেখা দিয়েছে চর্মসংক্রান্ত রোগব্যাধী।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠাণ্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আইডোরে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬০ জন। এদের অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। লোকবল কম থাকায় আমাদের ওপর খুব চাপ যাচ্ছে।  তবে রোগীরা ভালো আছেন।

উপরে