বনকর্মকর্তাদের সামনে পিটিয়ে চিতাবাঘ হত্যা
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় পুলিশ ও বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে একটি চিতা বাঘকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও বনকর্মকর্তারা জানান, সকালে বাঘটি দেখতে পায় স্থানীয় কয়েক শিশু। তারা বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করলে লোকজন লাঠি নিয়ে বাঘটিকে ধাওয়া দেয়। তাড়া খেয়ে বাঘটি স্থানীয় পাথরাজ নদীর পাশে একটি ঝোপে আশ্রয় নেয়। লোকালয়ে বাঘের খবরে কয়েক হাজার উৎসুক মানুষ বাঘ দেখতে ভিড় করে। লোকজনের ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় উৎসুক লোকজন বাঘটিকে বের করার জন্য ঢিল ছুড়ে। বিকালে পর্যন্ত বাঘটিকে ঝোপ থেকে কোনোভাবে বের করা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের আতঙ্ক দেখা দেয়।
দিনভর মানুষের উপস্থিতির কারণে বাঘটি ওই ঝোপের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঝোপের মধ্য থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বাঘটিকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে লোকজন বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ সময় বাঘের আক্রমণে চারজন আহত হয়েছেন বলে জানান ময়দানদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। আহতদের মধ্যে ইউসুফ আলী ও হারুন নামে দুইজনকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোদা উপজেলা বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারত থেকে বাঘটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সারদিন বাঘটি বেশ ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত ছিল। আমরা কৌশলে বাঘটিকে ধরার চেষ্টার করছিলাম। তার আগেই পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন বাঘটিকে পিটিয়ে হত্য করে। মানুষজনকে বাধা দিয়েও বাঘটিকে বাঁচাতে পারেননি বলে দাবি করেন তিনি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব স্থানীয়দের নিরাপত্ত্বা দেওয়া। সেখানে দিনভর জনগণের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। সন্ধ্যার পর বাঘটি পালাতে শুরু করলে কে বা কারা বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।