অন্যের চেক জমা রেখে কাউন্সিলর কারাগারে!
বরগুনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন শালিসির ৫ লক্ষ টাকার চেক জমা রেখে ফেঁসে গিয়েছেন। আজ বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্টেট আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেষ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পুলিশের কনোস্টবল পদের লিখিত পরীক্ষায় রাজু নামের এক প্রার্থী ৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে তার পরিবর্তে বাবু নামের একজন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। লিখিত পরীক্ষায় বাবু কৃতকার্য হলে পরের দিন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য আহবান জানানো হলে, প্রকৃত প্রার্থী রাজু মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত হলে ঘটনাটি ধরা পড়ে। মৌখিক পরীক্ষা বোর্ড সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদের জেরার মুখে রাজু সত্য কথা প্রকাশ করে। তার পরিবর্তে বাবু নামের তার এক বন্ধু লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। জানায়, এ ব্যাপারে তার বাবা মজিবর রহমান সালিশের মাধ্যমে চেক নেয়ার কথা বলে কাউন্সিলর রইসুল আলম রিপনের নিকট ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক জমা রাখেন।
এ ঘটনায় পুলিশের এসআই শামিম রেজা বাদী হয়ে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করে। সিআইডি মামলার তদন্তকালে কাউন্সিলর রইসুল আলম রিপনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চেক উদ্বার করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে, কাউন্সিলর রিপন, মজিবর, রাজু, বাবু, স্বপন চৌকিদার ও বাবুল সিকদার নামের ৪ জনের বিরুদ্বে অভিযোগপত্র জমা দেয়।