কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় মায়ে়র সামনে হাত পা বেঁধে রাজু চন্দ্র (১৫) নামের এক কিশোরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ ও নিন্দা। এ ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার কিশোরের বড় ভাই সজল চন্দ্র বিশ্বাস বৃহস্পতিবার বিকেলে মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুরাদনগর থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযুক্ত বৃদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের কন্টাক্টার (৬২) কে নারায়ণগঞ্জে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে ।

নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের রাখাল চন্দ্রের ছেলে রাজু চন্দ্র(১৫)। আর অভিযুক্ত আবু তাহের কন্টাক্টর(৬২) উপজেলার দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং একই সঙ্গে ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনে আমিরের পদে রয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে রাজু চন্দ্র বিশ্বাস মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় আবু তাহের রাজুদের বাড়িতে যান। রাজুকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখে শীতের মধ্যে রাজুর জামা কাপড় খুলে হাত-পা বেঁধে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে রাখেন আবু তাহের। এতে রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে বাধা অবস্থায় আবু তাহেরকে গালমন্দ করেন। এতে আবু তাহের উত্তেজিত হয়ে রাজুকে তার মায়ের সামনে নির্যাতন করে। তখন উপস্থিত কেউ গোপনে নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজুকে হাত-পা বেঁধে মুখে ও বুকে উপর্যুপরি লাথি মেরে ছুড়ে ফেল দেয় আবু তাহের। রাজু চিৎকার করে কান্না করলেও মেলেনি নিস্তার।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মনজুর আলম জানান, নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অভিযোগ পাই এবং ওই রাতেই মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাহিদ আহাম্মেদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোরশেদসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই বিষটি কেন্দ্র করে যেন ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাবিত করা হয় পুলিশের সর্তকতা রয়েছে।