স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শর্তবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসােসিয়েশন। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এক অনুষ্ঠানে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে শতবর্ষ উদযাপনের লোগো ও ‘শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

এলামনাইয়ের কর্মসূচির মধ্যে আছে, এ বছরের মার্চে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার (ওয়েবিনার) আয়োজন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযােদ্ধা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন উদ্বোধন এবং এ নিয়ে টেলিভিশন আলোচনার আয়োজন। শতবর্ষের মিলন মেলায় অংশগ্রহণকারী অ্যালামনাইদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে জুন মাসে। এছাড়াও একই মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার মাস জুলাইয়ে ‘শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান’ ছাড়াও ‘স্মৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আলামনাইদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও এ্যালামনাইদের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান,  বঙ্গবন্ধুর দর্শন-এর উপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও প্রদর্শনী ‘ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে এই মাসে। জুলাই মাস থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড প্রদান শুরু করবে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন। সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। অক্টোবর মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অ্যালামনাই মিলনমেলা-২০২১ আয়োজন করতে যাচ্ছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। 
অনুষ্ঠানে এসব কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ। এসময় তিনি কর্মসূচি সফল করতে সকলের সহযোগিতা চান।

অনুষ্ঠানে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি অ্যালামনাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যেও অ্যালামনাইয়ের অংশগ্রহণ আছে। আমাদের ব্যবস্থাপনা ও চিন্তা শক্তিতে পরিবর্তন করতে হবে। সব আয়োজনে গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাইকে আলাদা করে দেখার কারণ নেই। বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় এগিয়ে যায়। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে যেতে হবে, সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, পিএসসি চেয়্যারম্যান সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুইয়াসহ অ্যাসােসিয়েশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।